বিজনেস ওয়েবসাইট খুলতে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে হোস্টিং চয়েস করতে হবে।সাইটের হোস্টিং করার জন্য আপনার হাতে বিভিন্ন অপশন আছে যেমন ডেডিকেটেড হোস্টিং , ভিপিএস হোস্টিং কিংবা শেয়ারড হোস্টিং।শেয়ারড হোস্টিং ইউজ করলে আপনাকে আরো অনেক সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করতে হবে।আর ডেডিকেটেড সার্ভার ইউজ করলে ওই সার্ভারে শুধু মাত্র আপনার সাইট থাকবে,অন্য কোনো সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করতে হবে না।আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস ডিসিশনের মতো হোস্টিং সার্ভার চয়েসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ আপনার একটি সিপ্যানেল আছে শেয়ার্ড হোস্টিং এর ঐ সার্ভারে আপনার ছাড়াও আরও ১০০ জনের সিপ্যানেল থাকতে পারে। তার মানে আপনি একই সার্ভার ১০০ জনের সাথে শেয়ার করছেন
কস্ট,রিসোর্স,সিকিউরিটি,স্ক্যালাবিলিটি প্রভৃতি সকল কিছু নির্ভর করবে আপনার ডিসিশনের উপর।নিচে শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যানের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধার লিস্ট দেওয়া হলো:
সুবিধাসমূহ:
- এটি অনেক সাশ্রয়ী:
শেয়ার হোস্টিং এর কস্ট ডেডিকেটেড হোস্টিং এর চেয়ে তুলনায় অনেক কম।ক্ষেত্রবিশেষে,আপনার একটি সাইটের শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য মাসে $১.৫ থেকে $১০ ডলার কস্ট হবে।আপনার ওয়েবসাইটের ধরণ এবং ফিচারের উপর কস্ট নির্ভর করবে।অপরদিকে একই সুবিধার জন্য ডেডিকেটেড হোস্টিং এর জন্য আপনার কস্ট লাগবে প্রতি মাসে $৮০ থেকে $২৫০ এবং ভিপিএস সার্ভারে $১০ থেকে $৫০।শেয়ারড হোস্টিং অনেক বেশি সাশ্রয়ী কেননা হোস্টিং কস্ট সার্ভারের অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করা যায়। - এক্সপার্ট না হলেও চলবে:
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সার্ভার এডমিনিস্ট্রেশনে যদি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে শেয়ারড হোস্টিং হবে আপনার জন্য গ্রেট চয়েস।হোস্টিং প্রোভাইডাররা কাজগুলি করে দেবে তাই আপনার খুব বেশি টেকনিক্যাল নলেজ না থাকলেও চলবে।কিন্তু ডেডিকেটেড সার্ভারের ক্ষেত্রে হোস্টিং প্রোভাইডারদের হেল্পার জন্য এক্সট্রা পে করতে হবে।আবার নিজে থেকে করতে গেলে সেটিং আপ,এডমিনিস্ট্রেটিং এবং সার্ভার ম্যানেজিং এর মতো কাজগুলি আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে। - সার্ভার মেইনটেনেন্স অন্তর্ভুক্ত:
যখন আপনি শেয়ারড হোস্টিং ইউজ করবেন তখন সার্ভারের এডমিনিস্ট্রেশন এবং মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব সার্ভিস প্রোভাইডারের উপর ছেড়ে দিতে পারবেন।এছাড়া আপনি 24/7 যেসব টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাবেন সেগুলো হলো:
# সাইট মনিটরিং
# কোনো প্রবলেম হলে ইনস্ট্যান্ট এলার্ট
#কোনো ইস্যুর সমস্যা হলে রিপেয়ারিং
এর ফলে আপনি সাইটের প্রবলেমের বিষয়ে চিন্তিত না হয়ে মার্কেটিং এবং কাস্টমার সার্ভিসের এসপেকটস এর প্রতি বেশি ফোকাস।করতে পারবেন। - ব্যান্ডউইথ এবং কাস্টমাইজেশন ইমপ্রুভ হবে:
বর্তমানে মার্কেটপ্লেস অনেক বেশি কমপিটিটিভ।এজন্য ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডাররা শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য আরো বেটার অপশন অফার করছে।আপনি এখন শেয়ারড হোস্টিং এ পাবেন প্ল্যান এবং সেই সাথে ভালো কাস্টমাইজেশন অপশনস(cPanel,ডোমেইন এর নামে ইমেইল একাউন্টস ইত্যাদি)এবং বেশি ব্যান্ডউইথ।শেয়ারড হোস্টিং এ আপনি পাবেন ২-৫জিবির এর বেশি স্টোরেজ যা ছোট থেকে মাঝারি ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ট। এটা ছোট বা মাঝারি ধরণের বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ঠ!
অসুবিধাসমূহ:
- ডাউনটাইম:
আপনি যখন আপনার হোস্টিং প্ল্যান অন্য অনেক ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করবেন তখন আপনার রিসোর্স এর মধ্যে লিমিটেশন থাকবে। আপনার সাইট ওভার লোডেড সমস্যায় পড়তে পারে যদি একই সময়ে অন্য সাইটের ডিমান্ড রেট বেশি থাকে। এর ফলে আপনার সাইট ডাউন করবে এবং ভিজিটরা সেই সময় আর আপনার সাইট ভিজিট করতে পারবে না! এছাড়া এমন হতে পারে যে, আপনি যে সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করছেন সেই সাইটের ট্রাফিক বেশি হওয়ায় আপনার সাইট স্লো করছে। এটা অবশ্যই আপনার সাইটের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।তবে হোস্ট দ্যা ওয়েবসাইটের মত অনেক কোম্পানি এখন প্রত্যেক সিপ্যানের জন্য রিসোর্স লিমিট দিয়ে দেয়। যার জন্য অই লিমিট ক্রস হলে আপনার সাইট ডাউন থাকলেও অই সার্ভারের অন্য সাইট আপ থাকবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন সাইটের পেজ লোড হতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নিলে ৪০% ভিজিটর তখন ওই সাইট লিভ করে! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় গুগোল দেখেছ, সাইটের পেজ লোড হতে বেশি সময় নিলে ৭০% স্মার্টফোন ভিজিটর ওই সাইট লিভ করে! - লিমিটেড রিসোর্স :
বড় ওয়েবসাইট যাদের প্রতিমাসে প্রচুর ভিজিটর আসে এবং ডজন খানেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে প্রতিটি পেজে তাদের জন্য শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যান চয়েজ করা ভালো সিদ্ধান্ত নয়! আপনাকে আপনার রিসোর্সগুলোকে অন্য অনেক ওয়েবসাইট সাথে শেয়ার করতে হবে যার ফলে আপনাকে কিছু লিমিটেশন ফেইস করতে হবে। আপনি যদি আপনার এলোটের চেয়ে বেশি রিসোর্স ইউস করেন তখন আপনার হোস্ট অতিরিক্ত ফি আদায় করতে চাইবে! যা আপনার বিজনেস সাইট শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ের এক বিরাট ধাক্কা।
নিয়মিত হোস্টিং প্রোবলেমের সমাধান পেতে জয়েন করে ফেলতে পারেন আমাদের অফিসিয়াল গ্রুপে - হোস্ট দ্যা ওয়েবসাইট ফেসবুক গ্রুপ।
নিরাপত্তা:
আপনি সাইটের সিকিউরিটির ঝুঁকিতে থাকতে যদি শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যান ইউস করেন! কেননা আপনার সাইট অনেকগুলো ওয়েবসাইটের সাথে একই সার্ভারে থাকে! একই সার্ভারের কোন ওয়েবসাইট কোন এট্যাকের আন্ডারে পড়লে ওই সার্ভারের সকল ওয়েবসাইটগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই সার্ভারে অনেকগুলো ওয়েবসাইট থাকার কারণে হ্যাকিং এর আশাঙ্কা বেশি থাকে শেয়ারড হোস্টিং এ যা ডেডিকেটেড সার্ভারে সেই ঝুকি কম থাকে!
কাস্টমাইজড করার তেমন অপশন থাকে না:
শেয়ারড হোস্টিং আগে অনেক কাস্টমাইজড করার সুযোগ ছিলো যা বর্তমান প্রোভাইডররা দিচ্ছে না। ডেডিকেটেড সার্ভারের তুলনায় শেয়ারড হোস্টিং এ সুযোগ সামান্যই! আপনার ইচ্ছে স্বাধীন কোন সফটওয়্যার ইউস করতে পারবেন না! শুধুমাত্র ওই সার্ভার বা ফায়ারওয়ালের সাথে কনফিগারেড করা এপ্লিকেশনগুলোই ইউস করতে পারবেন! আপনার ইচ্ছেমত এপ্লিকেশন ইউস করতে পারলে আপনাকে আর প্রোভাইডরের নির্দেশনা মাফিক চলতে হতো না! কিন্তু শেয়ারড হোস্টিং এ সুযোগ নেই। তবে আপনি যদি এ কন্ট্রোল নিজের হাতে নিতে চান তাহলে আপনাকে হোস্টিং চেঞ্জ করতে হবে।
আপনি যদি সবেমাত্র শুরু করেন, আপনার সাইটটি যদি ছোটখাটো বিজনেস সাইট হয় যার পেইজ সংখ্যা বেশি নয় এবং আপনার সাইটের মাসিক ভিজিটর ২০০০০০ বেশি নাহলে শেয়ারড হোস্টিং আপনার জন্যে যথেষ্ট।
এছাড়া আপনার সাইট যদি অনেক বড় হয়ে থাকে যেখানে অনেক কনটেন্ট আছে প্রতি পেইজে,মাসে ভিজিটরের সংখ্যা ২০০০০০ বেশি এবং আপনি যদি ১০০% স্ট্যাবিলিটি পেতে চান সার্ভারের ওপরে তাহলে আপনাকে হোস্টিং চেঞ্জ করতে হবে।
এছাড়া আপনার যদি কোন সাহায্যের দরকার হয় আপনার সাইটের হোস্টিং চয়েজের ব্যাপারে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমাদের Host The Website টিম সবসময় আছে আপনার সাহায্যে। আমাদের ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায় support@hostthewebsite.com.