HomeBlogফ্রি ওয়েবসাইটের ৩৬ টি খারাপ দিক!!

ফ্রি ওয়েবসাইটের ৩৬ টি খারাপ দিক!!

সাধারণত আপনাকে আগ্রহী করে তোলার জন্যেই ফ্রি ওয়েবসাইট অফার করা হয়! ইন্টারনেটে সার্চ করলে এমন অনেক কোম্পানি পাওয়া যাবে ছাড়া আপনাকে ফ্রি হোস্টিং অফার করবে এমনকি ফ্রিতে সেল্ফ হোস্টেড ওয়ার্ডপ্রেসও অফার করতে পারে। আপনি ভাবতে পারেন তারা এগুলো কেনো করছে? আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারো কেনো সবাই ফ্রি ওয়েবসাইট ইউস করে না! তাই এই আর্টিকেলে আমরা দেখাবো ফ্রি ওয়েবসাইটের ৩৬ টি খারাপ দিক এবং কিভাবে সর্বনিম্ন খরচে সাইট রান করা যায়!

ফ্রি ওয়েবসাইট বলতে কি বুঝায়?  

বিগেইনাররা সবসময় চায় তাদের ওয়েবসাইটের খরচ সবসময় সর্বনিম্ন রাখতে এবং এটাই স্বাভাবিক! তাই আপনি যদি গুগলে সার্চ করে দেখেন তাহলে ফ্রি হোস্টিং কোম্পানির অনেক লিস্ট দেখতে পারবেন।

আপনাকে প্রলুব্ধ করার জন্যেই এসকল কোম্পানি ফ্রিতে হোস্টিং এবং সাইট বিল্ডাপ সার্ভিস দিয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যখন সাইনইন করে সাইট রান শুরু করবেন তখন থেকেই বুঝতে পারবেন এর লিমিটেশন এবং দেখবেন অনেক সার্ভিসই ফ্রি না!

তাই আপনি বা আপনার আশেপাশের কেউ ফ্রি সাইট নেয়ার চিন্তা করে থাকেন তাহলে তা পরিহার করুন। আর এই আর্টিকেলটিতে আমরা ৩৬ টি কারণ দেখাবো কেনো ফ্রি ওয়েবসাইট সার্ভিস নেয়া বাজে আইডিয়া!

খুব স্লো সাইট স্পিড:

বেশিরভাগ ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডররা একটি সার্ভারে শখানের ওয়েবসাইট রান করায়! এই কারণে ওই সার্ভারের সকল ওয়েবসাইট খুব স্লোলি লোড হয়! স্লো ওয়েবসাইট ইউজারদের বাজে এক্সপেরিয়েন্স দেয় এবং সাইটের এসইও এর জন্যে তা মোটেও ভালো নয়!

২। আনপ্রফেশনাল ওয়েব এড্রেস:

আনপ্রফেশনাল ওয়েব এড্রেস যেমন:mysmallbusiness.Freewebsite.com কখনোই প্রফেশনাল ওয়েবএড্রেস হতে পারে না! তাই সিরিয়াস ইউজাররা কখনোই আপনার এই ডোমেন নেইমকে ভালোভাবে নিবে না। ভালো ডোমেন নেইম নাহলে তা আপনার সাইটের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না! এছাড়া এতবড় ডোমেন নেইম মনে রাখাও অনেকের জন্যে কষ্টকর! তাই আপনার উচিত একটি কাস্টম ডোমেন ইউজ করা! যেখানে নরমালি অন্যান্য কোম্পানিগুলো প্রিমিয়াম ডোমেনের জন্য বার্ষিক ১৮-২৫ ডলার চার্জ করে সেখানে আমরা হোস্ট দ্যা ওয়েবসাইট মাত্র ১০ ডলারে ডোমেন প্রোভাইড করে থাকি!

৩। ট্রায়াল সার্ভিস কখনো ফ্রি নয়:

ফ্রি হোস্টিং কোম্পানিগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকে! এই সময় পার হয়ে গেলে পে করে আপনাকে সার্ভিস নিতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তখন নরমাল ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং প্ল্যানের চেয়ে ওইগুলোর কস্ট বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া আপনি যদি সাইন আপের সময় ক্রেডিড কার্ড ইউস করেন, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অতিরিক্ত চার্জ কাটছে!

৪। ফ্রি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে অনেক হিডেন চার্জ থাকে:

অন্যান্য বিজিনেসের মত ফ্রি ওয়েবসাইট কোম্পানিগুলোরও উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা করা। তাই এসমস্ত হোস্টিং কোম্পানিগুলো বিভিন্ন এডিশনাল চার্জ যেমন: পিকচার হোস্টিং,ইমেইল একাউন্ট,এফটিফি এক্সেস,ওয়েবসাইট ট্রান্সফারের জন্যে চার্জ নিয়ে থাকে। এবং এই চার্জগুলো অন্যদের তুলনায় বেশিই হয়ে থাকে!

৫। তারা আপনার ডাটা লক ডাউন করে রাখতে পারে:

- অনেকেই ফ্রি হোস্টিং নিয়ে ওয়েবসাইট শুরু করে। কিন্তু যখন তারা তাদের সাইট অন্যকোন পেইড হোস্টিং ট্রান্সফার করতে চায় তখন ফ্রি হোস্টিং কোম্পানিগুলো কোন টুলস প্রোভাইড করে না যার মাধ্যমে একজন ইউজার সহজেই সাইট ট্রান্সফার করতে পারবে। যার ফলে তাদের অন্যকোন প্রফেশনাল লোকের হেল্প দরকার হয় যা তার সাইট বিল্ডআপের খরচ বাড়িয়ে দেয়!

৬। অযাচিত বিজ্ঞাপন:

বেশিরভাগ ফ্রি হোস্টিং কোম্পানিগুলোই বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল। আপনি সাইট বিল্ডআপ করবেন,কন্টেন্ট আপলোড দিবেন কিন্তু আপনার হোস্টিং কোম্পানি আপনার সাইটে এড শো করে টাকা আয় করবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপনগুলো এডাল্ট হয় যা আপনার সাইটের মান এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে।

৭। তারা আপনার সাইট শাটডাউন করে দিতে পারে:

হোস্টিং নেয়ার সময় তারা এমন সব কন্ডিশন দিয়ে থাকে যে, এনি টাইম তারা আপনার সাইট শাটডাউন করার ক্ষমতা রাখে। তাই আপনার সাইড শাটডাউন করে দিলে আপনি আর ডাটা ফিরে পাবেন না!

৮। ফ্রি হোস্টিং কোম্পানিগুলো যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে:

যেকোন সময় ফ্রি ওয়েবসাইট কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে পারে। তারা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে নিশ্চিন্তে চলে যাবে আর এদিকে আপনি আপনার সাইটের সকল ডাটা হারাবেন। এগুলো তারা তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশনে উল্লেখ করে থাকে।

৯। সাইট এড্রেস হারাতে পারেন:

যদি ফ্রি হোস্টিং কোম্পানি মনে করে তারা ব্যবসা অথবা আপনার সাইট শাটডাউন করে দিবে তাহলে আপনি আপনার সাইট এড্রেস হারাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাবডোমেনের মাধ্যমে আপনাকে এই সার্ভিস দেয়া হয়ে থাকে। তাই সাইট শাটডাউন করলে আপনি আর অন্যকোন ডোমেনে সাইট রিডাইরেক্ট করতে পারবেন না!

১০। তারা আপনার ইনফরমেশন সেল করে দিতে পারে:

মনে রাখা উচিত তাদের যেকোন উপায়েই টাকা কামাতে হবে। তাই আপনি যদি তাদের সার্ভিসের জন্য পে করে না থাকেন তারমানে আপনি তাদের প্রোডাক্ট! তাই তারা অন্য উপায়ে যেমন: আপনার ইমেইল এড্রেস,সাইট ইনফরমেশন, ব্যক্তিগত তথ্য,সাইট এড্রেস অন্যকারো কাছে সেল করে টাকা ইনকাম করে। তারা ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিভিন্ন কন্ডিশন দিয়ে এগুলোর বৈধ্যতা করে নেয়!

১১। সাইট বিল্ডিংস টুলস না থাকা:

পেইড হোস্টিং ছাড়া অন্য হোস্টিংগুলো সাইড বিল্ডিং এর জন্য আপনাকে লিমিটেড টুলস অফার করবে। লিমিটেড টুলস ইউস করে কখনোই আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোফেশনাল লুক দিতে পারবেন না!

১২। ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট না করা:

অনেক ফ্রি হোস্টং কোম্পানিগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল এলাও করে না! ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স অনেক ফ্রি ওয়েবসাইটেরই থাকে না!

১৩। লিমিটেড ওয়ার্ডপ্রেস:

যদিও অনেক ফ্রি হোস্টিং এ ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট করে তবুও আপনি সেগুলো ইউস করে ঠিকঠাকভাবে সাইট রান করাতে পারবেন না। এসমস্ত হোস্টিং ইউজের ফলে আপনার সাইটে অনেক এরর দেখাবে যা আপনার সাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য অত্যন্ত বাজে।

১৪। ম্যালওয়ার ডিস্ট্রিবিউটর:

ফ্রি হোস্টিং কোম্পানিগুলো ম্যালওয়ার ছড়ানোর জন্যে কুখ্যাত! এটা হতে পারে তাদের পুউর সিকিউরিটি অথবা তাদের স্বইচ্ছায়! এরফলে আপনার সাইটের সুনাম ব্যাহত হয় এবং যা সাইটের এসইওতেও খারাপ প্রভাব ফেলে।

১৫। লিংক ফার্মের পার্ট হওয়া:

ফ্রি ওয়েবসাইট সার্ভিস ইউস করার মাধ্যমে আপনি লিংক ফার্মের পার্ট হয়ে যেতে পারেন। কেননা প্রত্যেকটি বিজনেসেরই উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা। তাই তারা যেহেতু আপনার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে না সেহেতু তাদের অন্যকোন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে হবে। তাই লিংক ফার্মের মাধ্যমে হাজার হাজার পেইজ ক্রিয়েট করে তারা স্প্যাম,ড্রাগ ডিল, অনলাইন স্ক্যামিং করতে পারে আপনার সাইট দিয়ে!

১৬। লিমিটেড ব্যান্ডউইথ:

ব্যান্ডউইথ হলো আপনার সার্ভার থেকে ইউজার ব্রাউজারে ডাটা ট্রান্সফারের পরিমাণ। এটা ব্যয়বহুল তাই ফ্রি ওয়েবসাইটগুলোতে ব্র্যান্ডউইথের পরিমাণ লিমিটেড থাকে!

১৭। লো ডিস্ক স্টোরেজ:

ফ্রি ওয়েবসাইটগুলো একই সার্ভারে শত শত ওয়েবসাইটের রিসোর্ট এবং হার্ডডিক্স শেয়ার করে। ফ্রি কোম্পানিগুলো আপনাকে খুবই লিমিটেড ডিস্ক দিবে ডাটা স্টোরের জন্যে। যখন আপনি এই লিমিট ক্রস করবেন তখন তারা আপনাকে অতিরিক্ত পে করতে বলবে!

১৮। সাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল:

পুউর সিকিউরিটির কারণে ফ্রি ওয়েবসাইটগুলো সবসময় হ্যাকিং এর সম্ভাবনায় থাকে! তাই একবার সাইট হ্যাক হয়ে গেলে আপনার জন্যে তা ফিরিয়ে আনা খুব কষ্টকরই হবে। কেননা ফ্রি কোম্পানিগুলো খুব লিমিটেড এক্সেস দেয় আপনার ডাটা এবং ফাইলের ক্ষেত্রে!

১৯। এইচটিএমএল সাইটে লিমিটেড পেইজ এলাও

ফ্রি ওয়েবসাইট কোম্পানিগুলো সাইটের জন্যে লিমিটেড পেজ এলাও করে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত পেজ এড করতে চান তাহলে তারা আপনার পেইড সার্ভিস নিতে বলবে!

২০। ইউজারদের সন্তুষ্টি পাবেন না

আপনি যখন ফ্রি ওয়েবসাইট ইউজ করবেন তখন আপনার ইউজাররা আপনার প্রতি তেমন ট্রাস্টেড হবে না। আর ইউজাররা যদি আপনার সাইটে তাদের ই ইনফরমেশন শেয়ার করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ না করে তাহলে আপনার সাইট ক্রিয়েট করার কোন মানে হয় না!

২১। লিমিটেড ডিজাইন চয়েজ

সেল্ফ হোস্টেড সাইটে আপনি হাজার হাজার ওয়ার্ডপ্রেস থিম পাবেন যার ফলে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে ইচ্ছামত কাস্টমাইজড করতে পারবেন। কিন্তু ফ্রি ওয়েবসাইটে এটা লিমিটেড। তাই আপনি নিজের ডিজাইন বা পছন্দমাফিক থিম ইউস করতে পারবেন না!

২২। কাস্টমার সার্ভিস নেই:

ফ্রি কোম্পানিগুলো ইউজারদের কোন প্রকার হেল্প করে থাকে না! তাই আপনাকেই আপনার সাইট বিল্ডআপ করতে হবে। এছাড়া কোন ধরণের হেল্প লাগলেও আপনি তাদের সাপোর্ট পাবেন না!

২৩। আপনি এড রান করে টাকা আয় করতে পারবেন না:

যদিও ফ্রি কোম্পানিগুলো নিজেরা আপনার সাইটে এড শো করিয়ে টাকা আয় করছে কিন্তু আপনাকে তারা কোন প্রকার এড শো করাতে দিবে না! আপনি আপনার সাইটে কোন প্রকার আফিলিয়েট লিংক বা এডসেন্স একাউন্ট এড করতে পারবেন না!

২৪। কোন ব্যাকআপ নেই:

ফ্রি ওয়েবসাইটে রেগুলার ব্যাকআপ এর কোন ব্যবস্থা নেই। তারা আপনার ডাটার ব্যাকআপ রাখে না! তাই কখনো যদি আপনার ডাটা হারায় তাহলে তা আর ফেরত আনা সম্ভব নয়!

২৫। ফ্রি কোম্পানি থেকে বের হয়ে আসা কঠিন:

এই কোম্পানিগুলো আপনাকে ফ্রি হোস্টিং দেয় কারণ তারা আপনার কন্টেন্টের মাধ্যমে তারা টাকা আয় করে। তারা কখনোই আপনাকে আপনার সাইটের ফুল এক্সেস দিবে না! তাই আপনি যদি কখনো সাইট ডিলেট করতে চান বা তাদের কাছ থেকে বের হয়ে আসতে চান তাহলে আপনার জন্যে তা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

২৬। কোন স্ট্যাটিক বা ডিসেন্ট এনালাইটিকস না থাকা:

ভালো হোস্টিং কোম্পানিগুলো থেকে আপনি ফ্রিতে আপনার সাইটের ভিজিটর স্ট্যাটিক পেয়ে থাকেন। কিন্তু ফ্রি হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আপনি গুগল বা অন্যকোন এনালাইটিকস ইউস করতে পারবেন না কারণ এরা নিজেদের কোড ইউস করে থাকে!

২৭। ইমেইল অফারের জন্যে টার্গেটেড হতে পারেন:

আপনার কাছ থেকে যেহেতু তারা চার্জ নিচ্ছে না তাই তাদের বিকল্প উপায়ে ইনকাম করতে হবে। দেখা যাবে তারা আপনাকে প্রায়সই ইমেইল দিয়ে বিভিন্ন সার্ভিস অফার করবে। এছাড়া আপনাকে মেনশন না করেই তারা আপনার ইমেইল এড্রেস অন্যকোথাও সেল করে দিতে পারে!

২৮। মোবাইল ডিভাইস সাপোর্ট না করা:

ফ্রি ওয়েবসাইটে আপনি মোবাইল ইউস করে সাইট আপডেট দিতে পারবেন না! ফ্রি ওয়েবসাইট কোম্পানিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডেস্কটপ সাপোর্টেড ড্যাশবোর্ড ডিজাইন করে থাকে। যার ফলে এটা খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মোবাইল দিয়ে সাইট আপডেট করা।

২৯। কোন রেসপন্সিফ ডিজাইন না থাকা:

বেশিরভাগ ফ্রি ওয়েবসাইট কোম্পানিগুলো এমন সব ডিজাইন অফার করে যা অনেক পুরনো বা মোবাইল সাপোর্টেড নয়! কিন্তু আমরা জানি বিপুল সংখ্যক ইউজার মোবাইলে ইন্টারনেট ইউজ করে। তাই সাইট মোবাইল সাপোর্টেড না হওয়ায় আপনি অনেক ইউজার হারাবেন।

৩০। ব্র্যান্ডেড ইমেইল না থাকা:

ফ্রি ওয়েবসাইটে আপনি নিজের নাম দিয়ে কোন ইমেইল খুলতে পারবেন না! যার ফলে আপনাকে সবসময় জিমেইল অথবা হটমেইল ইউস করতে হবে যা আপনাকে প্রোফেশনাল লুক দিবে না!

৩১। ইমেইল ফরওয়ার্ড বা কন্ট্রাক্ট ফর্ম না থাকা:

অনলাইনে থাকা প্রতিটি ওয়েবসাইটেরই একটি ভালো কন্ট্রাক্ট ফর্ম থাকা উচিত। কিন্তু ফ্রি ওয়েবসাইটে এমন কোন ওয়ে থাকে না যার মাধ্যমে আপনি কাস্টম কন্ট্রাক্ট ফর্ম এড করতে পারেন। এছাড়া আপনি কোন ইমেইলও ফরওয়ার্ড করতে পারবেন না!

৩২। লিমিটেড ফাইল আপলোড ফিচারস:

পেইড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে এফটিপি ক্লায়েন্ট অথবা মিডিয়া আপলোডারের মাধ্যমে আপনি আনলিমিটেড ফাইল আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু ফ্রি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আপনি লিমিটেড ফাইল আপলোড করতে পারবেন!

৩৩। কাস্টমার সাপোর্ট না থাকা:

পেইড হোস্টিংগুলো ক্লায়েন্টের সাপোর্ট দিতে দায়বদ্ধ। কিন্তু ফ্রি কোম্পানিগুলোর এ ব্যাপারে কোন দায় নেই! তাই আপনি যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার সাপোর্ট পাবেন না!

৩৪। রিডাইরেক্ট সেটাপ করার কোন ওয়ে নাই:

ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি বিভিন্ন ওয়েতে রিডাইরেক্টশন সেটাপ করতে পারবেন। যা আপনার এসসিওর জন্যেও খুব ভালো। কিন্তু ফ্রি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আপনি এমনটা করতে পারবেন না!

৩৫। ফ্রি ওয়েবসাইটে সময় ব্যয় ভালো আইডিয়া নয়:

আপনি যদি সিরিয়াস ইনটেনশন সাইড বিল্ডআপ করেন তাহলে ফ্রি ওয়েবসাইট ভালো আইডিয়া নয়! কেননা এই আর্টিকেলে আমরা আগেই বলেছি,ফ্রি ওয়েবসাইট অনিরাপদ,অবিশ্বস্ত,ডিফিকাল্ট এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের জন্যে ভালো নয়।

৩৬। প্র্যাকটিসের জন্যেও ভালো নয়:

আপনি যদি প্র্যাক্টিসের জন্যেও ফ্রি ওয়েবসাইট ইউস করেন তাহলেও বলবো এটা ভালো নয়!

অবশ্যই ফ্রি হোস্টিং এর চেয়ে পেইড হোস্টিং অনেক ভালো। আমরা হোস্ট দ্যা ওয়েবসাইট বিগেইনারদের জন্য প্রতিটি হোস্টিং প্ল্যানে ৩০% ছাড় দিয়ে থাকি।

আশাকরি এই আর্টিকেলটি আপনাদের, কেনো ফ্রি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করা ভালো আইডিয়া নয় সে ব্যাপারে ধারণা পেতে সাহায্য করবে।

এছাড়া অন্যকোন প্রব্লেম থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

আর এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন।

আমাদের ফেইসবুক গ্রুপেও এড হয়ে নিতে পারেন।

এছাড়া আমরা Host The Website টিম আমাদের ক্লায়েন্টের সার্ভার সংক্রান্ত সকল সমস্যার ২৪/৭ হেল্প সাপোর্ট দিয়ে থাকি।
আর যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন ০১৫২১২১০৩৪৮ নাম্বারে এবং ইমেইল করতে পারেন এখানে sales@hostthewebaite.com or support@hostthewebsite.com

ফাহাম তানভীর
ফাহাম তানভীরhttps://hostthewebsite.com/
সবারই কোনো না কোনো স্পেসিফিক বিষয়ে আগ্রহ থাকে আর আমার প্যাশনের জায়গাটা হচ্ছে হোস্টিং ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এক্সপিরিমেন্ট করা। হোস্টিং নিয়ে কাজ করার চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না! আমি বেশ কিছু মাস ধরেই Host The Website এর সাথে আছি এর একমাত্র কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে গ্রোয়িং হোস্টিং প্রভাইডার এটি। এছাড়া এই হোস্টিং কোম্পানি আমার প্যাশনের জায়গাটাও ফুলফিল করছে।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments